পুস্তক ও জ্ঞানকোষ প্রকাশনা
উদ্দেশ্য : বাংলা ভাষায় শিশুদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতমানের বই এবং কোষগ্রন্থ ও মাসিক “শিশু” পত্রিকা প্রকাশ।
উপকারীভোগী শিশুর সংখ্যা : বছরে গড়ে ২.৫০ লক্ষ জন শিশু একাডেমীর প্রকাশিত বিভিন্ন বই পাঠের সুযোগ লাভ করছে।
কর্মসূচীর বিবরণ : শিশুদের জন্য ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, জীবনী, বিভিন্ন জ্ঞানকোষ, ইতিহাস, ঐতিহ্য বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বছরে কমপক্ষে ২০টি বই প্রকাশ করা হয় । এছাড়া মাসিক “শিশু” পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। শিশু পত্রিকার বার্ষিক প্রচার সংখ্যা ৭৮,০০০ কপিসহ বৎসরে একাডেমীর বইয়ের মোট মুদ্রণ সংখ্যা ১,৭৮,০০০ কপি। এ পর্যন্ত প্রকাশিত মোট বইয়ের সংখ্যা-৬৩০টি।
বাস্তবায়ন এলাকা : সকল বই পত্রিকা বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা শাখার মাধ্যমে বই বিক্রয় ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
শিশু চলচ্চিত্র নির্মাণ
উদ্দেশ্য : বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ।
উপকারীভোগী শিশুর সংখ্যা: প্রতিবছর গড়ে ২ লক্ষ শিশু একাডেমীর মাধ্যমে চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পায় ।
কর্মসূচীর বিবরণ : প্রতি বছরে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৫টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে যার মধ্যে একটি জাতীয় এবং একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে।
বাস্তবায়ন এলাকা : বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা।
জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা
উদ্দেশ্য: তৃণমূল পর্যায়ের শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন বিষয়ে মেধাসম্পন্ন শিশুদের স্বীকৃতি।
উপকারীভোগী শিশুর সংখ্যা: বছরে গড়ে প্রায় ২ লক্ষ জন শিশু এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার মোট ৬২টি বিষয়ের এ প্রতিযোগিতায় উপজেলা থেকে ১ম স্থান প্রাপ্ত শিশুরা জেলা ও বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।
বাস্তবায়ন এলাকা: দেশের সমগ্র উপজেলা/থানা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা।
মৌসুমী প্রতিযোগিতা
উদ্দেশ্য: বর্ষাকালে শিশুদের কর্মব্যস্ত রাখা এবং দলীয় সমঝোতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠান বা দলভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের জানার আগ্রহ সৃষ্টি।
উপকারীভোগী শিশুর সংখ্যা: বছরে ৫০,০০০ জন শিশু সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: বিতর্ক, জ্ঞান-জিজ্ঞাসা ও জারীগান বিষয়ে দলগত এ প্রতিযোগিতায় উপজেলা থেকে ১ম ও ২য় স্থান অধিকারী শিশুরা জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।
বাস্তবায়ন এলাকা: দেশের সমগ্র উপজেলা/থানা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা।
স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের জন্মবার্ষিকী পালন
উদ্দেশ্য: স্থানীয়ভাবে অর্থাৎ জেলাভিত্তিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যারা স্থানীয় শিশু-কিশোরদের উৎসাহ উদ্দীপনার প্রতীক হতে পারেন, তাদের কর্মজীবন ও সৃষ্টির সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করানো।
উপকারীভোগী শিশুর সংখ্যা: বছরে প্রায় অর্ধলক্ষ শিশু সরাসরি একাডেমীর কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসের মাধ্যমে এই কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত হয়।
কর্মসূচীর বিবরণ: স্থানীয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে জেলাভিত্তিক একেক বছর একেক জন ব্যক্তিত্ব ঠিক করে তাঁর কর্মজীবন, সৃষ্টি ইত্যাদি শিশুদের সামনে তুলে ধরা হয় এবং সম্ভব হলে স্মৃতি নিদর্শনসমূহ পরিদর্শন করানো হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: ৬৪টি জেলা এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা।
রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন
উদ্দেশ্য: বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জীবন এবং কর্ম সম্পর্কে শিশুদের অবহিত করা এবং তাঁদের সৃষ্ট কর্মের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেয়া।
উপকারীভোগী শিশুর সংখ্যা: প্রতি বছর প্রায় অর্ধলক্ষ শিশু সরাসরি একাডেমীর মাধ্যমে এই কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত হয়।
কর্মসূচীর বিবরণ: রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের জীবনী আলোচনা, সৃষ্টি কর্মের উপর প্রতিযোগিতা, যেমন-আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ইত্যাদি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচী পালিত হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: ৬৪টি জেলা এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা।
বিশ্ব শিশু দিবস
উদ্দেশ্য: শিশুর অধিকার এবং শিশুর প্রতি সহিংস আচরণরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিশুর পূর্ণ বিকাশে অঙ্গীকার।
শিশুর সংখ্যা: প্রতিবছর গড়ে ৭৫,০০০ জন শিশু সরাসরি একাডেমীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপনের সময় এই দিনটিতে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনা, শিশু র্যালী, শ্রমজীবি ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আনন্দ অনুষ্ঠান এবং শিশুদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা এবং ৬৪টি জেলা।
শিশুদের সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ
উদ্দেশ্য: শিশুদের সৃজনশীলতা ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনের সুযোগ সৃষ্টি এবং নিজস্ব ঐতিহ্যভিত্তিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ে মেধাবী শিল্পী তৈরি।
শিশুর সংখ্যা: বছরে গড়ে ৩৫,০০০ হাজার শিশু, শিশু একাডেমীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: সংগীত ও নৃত্য বিষয়ে ৩ বছর এবং চিত্রাংকন, আবৃত্তি অভিনয়, তবলা, গীটার বিষয়ে ২ বছর মেয়াদী সিলেবাস ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ঢাকা এবং ৬৪টি জেলা।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন
উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা শিশুদের যথাযথভাবে অবহিতকরণ এবং এ উপলক্ষে জাতীয়ভাবে গৃহিত শিশুদের কর্মসূচী সারাদেশে বাস্তবায়ন।
শিশুর সংখ্যা: বছরে ৭৫,০০০ জন শিশু সরাসরি একাডেমীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: জাতীয়ভাবে গৃহিত কর্মসূচীর সঙ্গে সংগতি রেখে শিশু সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, আলোচনা পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
উদ্দেশ্য: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান এবং আত্মত্যাগ স্মরণ।
শিশুর সংখ্যা: বছরে অর্ধলক্ষ শিশু সরাসরি একাডেমীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: ভাবগম্ভীর পরিবেশে শিশুদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মহান আত্মত্যাগের কাহিনী বর্ণনা, আলোচনা সভা, রচনা লিখন, চিত্রাংকন প্রদর্শনী ইত্যাদি।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
উদ্দেশ্য: ভাষা শহীদদের স্মরণ এবং বাংলা ভাষার জন্য তাঁদের অবদান শিশুদের অবহিতকরণ যেন গৌরবময় অতীত থেকে তারা শিক্ষা নিতে পারে।
উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা: বছরে গড়ে ৭৫,০০০ জন শিশু সরাসরি একাডেমীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচীর বিবরণ: প্রভাতফেরী, স্মরণ সভা, একুশের গান, কবিতা, চিত্রাংকন, রচনা লিখন ইত্যাদি প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ৬৪টি জেলা।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
উদ্দেশ্য:
উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা: বছরে গড়ে প্রায় এক লক্ষ শিশু সরাসরি একাডেমীর অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়।
কর্মসূচীর বিবরণ: শিশু সমাবেশ, আলোচনা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী শিশুদের জন্য কর্মসূচী পালন।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ৬৪টি জেলা।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন
উদ্দেশ্য: পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) এবং এর তাৎপর্য সম্পর্কে শিশুদের অবহিতকরণ।
উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা: প্রতিবছর গড়ে ৬৫ হাজার শিশু সরাসরি একাডেমীর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়।
কর্মসূচীর বিবরণ: মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবন সম্পর্কে আলোচনা, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা এবং পরিবেশন ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে ভাবগম্ভীর পরিবেশে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন
উদ্দেশ্য: বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করানো।
উপকারভোগী শিশুর সংখ্যা: বছরে এ অধিক বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর অনুষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়।
কর্মসূচীর বিবরণ: বৈশাখী মেলায় অংশগ্রহণ, লোকজ ঐতিহ্য ভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং প্রতিযোগিতা, দেশীয় খাবার দাবারসহ স্থানীয় ঐতিহ্য ভিত্তিক বিভিন্ন উপকরণের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করানো ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়।
বাস্তবায়ন এলাকা: কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ৬৪টি জেলা।