প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন, ‘কালোজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত রয়েছে।’ সে জন্য যুগ যুগ ধরে পয়গম্বরীয় ওষুধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে আসছে।
প্রতি গ্রাম কালজিরায় যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা নিন্মরূপ-
*প্রোটিন ২০৮ মাইক্রোগ্রাম,
*ভিটামিন-বি ১.১৫ মাইক্রোগ্রাম
*নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম
*ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম
*আয়রণ ১০৫ মাইক্রোগ্রাম
*ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম
*কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম
*জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম
*ফোলাসিন ৬১০ আইউ
আমরা অনেকেই বাদাম খায় কিন্তু বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বা বাদামের ঔষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে জানিনা। শুধু বাদামেই নয়, বাদাম তেলেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। বাদামে অনেক প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের উৎস রয়েছে। তবে বাদামের উপকারিতার আছে জেনে বাদাম নিয়ম ছাড়া অনিয়মিত খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। তাই পরিমিত পরিমাণে বাদাম খান এবং সুস্থ থাকুন। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের বাদাম রয়েছে। এবং বিভিন্ন জাতের বাদামের পুষ্টিগুণ ও ভিন্ন রকমের।
বাদামের পুষ্টিগুণ-
চিনাবাদাম এর উপকারিতা-
১। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে শরীরে বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়।
২। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।৩। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আখরোট বাদামের উপকারিতা-
১. এই বাদাম শরীরের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
২. এই বাদাম ব্রেনে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে।
পেস্তা বাদাম এর উপকারিতা-
১. পেস্তা বাদাম শরীরের রক্ত শুদ্ধ করে থাকে।
২. পেস্তা বাদাম লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাজু বাদাম এর উপকারিতা-
১. এ বাদাম অ্যানিমিয়া ভালো করে।
২. ইহা ত্বক উজ্জ্বল করে।
৩. এ বাদাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তের মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচুর কাজ করে কলা।
জেনে নিন কলার বহুগুণ-
অবসাদ-
অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া-
কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।
রক্তচাপ-
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।
মস্তিষ্ক-
টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।
কনসটিপেশন-
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।
পেঁপে এর স্বাদ ও গুনাগুণের জন্য বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ফল। গ্রীষ্মকালীন এ ফলে আছে প্রাকৃতিক ফাইবার হিসাবে পুষ্টি এবং সাথে উদ্ভিদে বিদ্যমান পিঙ্গল পদার্থ, যেমন ভিটামিন এ, সি, এবং কে, যেমন নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম,
প্রোটিন । যাদের ডায়াবেটিস আছে, পেঁপে এর স্বাদ ও গুনাগুণের জন্য বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ফল। গ্রীষ্মকালীন এ ফলে আছে প্রাকৃতিক ফাইবার হিসাবে পুষ্টি এবং সাথে উদ্ভিদে বিদ্যমান পিঙ্গল পদার্থ, যেমন ভিটামিন এ, সি, এবং কে, যেমন নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিন । যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া হারাম। যেকোনো রকম সুগারজাত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার নিষেধজালে আটকা পড়েন তারা। কিন্তু আমাদের দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল পেঁপে, যা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।
এখানে পেপের বেশ কিছু গুনাগুণের কোথা তুলে ধরা হল:
১। হৃদ রোগ থেকে রক্ষা করে:
নিয়োমিত পেপে খেলে অথেরোস্ক্লেরোসিস এবং ডায়াবেটিক হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁপের ভিটামিন এ, সি এবং ই, সমূহের এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এর চমৎকার উৎস।
এই তিনটি পুষ্টি কলেস্টেরল প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা হার্ট এটাক ও স্ট্রোক এর প্রধান কারণ এক। পেঁপের এছাড়াও ফাইবার এর একটি ভাল উৎস, যা উচ্চ কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
২। দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে:
অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন তিনবার পেপে খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতি প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণ করা।
পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।
৩। হজমে সহায়তা করে:
বদ হজমের রোগিদের পাকা পেঁপে খেলে খুব উপকার মিলবে। পাঁকা পেপে খেলে মুখে রুচি বাড়ে, সাথে সাথে খিদে বাড়ে তাছাড়া পাঁকা পেপে কোষ্ট পরিস্কার করে এবং বায়ু নাস করে। এ ছাড়াও পেপে অর্শ রোগের ক্ষেত্রেও বেশউপকারি।
৪। অর্শ ও কৃমিনাশক:
কাঁচা পেঁপের আঠা বীজ কৃমিনাশক। কাঁচা পেঁপের আঠা চিনি বা বাতা্সোর সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শ ও জন্ডিস সহ লিবারের নানা রোগ ভালো হয়। এ আঠা প্রতিদিন সকালে ৫- ৭ ফোটা আঠা বাতাসার সাথে মিসিয়ে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়। ব্রন আচিল জিভের ঘায়ে এ আঠা লাগলে খুব উপকার হয়।
৫। কোলেস্টেরল কমায়:
অন্যান্য ফলের মতই পেঁপেতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। আর পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পেঁপে রাখুন। অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের বদলে পেঁপে খান। তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৬। ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়:
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৭। চুলের যত্নে:
চুলের যত্নে পেপে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দইয়ের সাথে পেপে মিশিয়ে চুলে মাখলে চুলের গোরা শক্ত হয় ও চুল ঝলমলে হয়। ১ চামচ পেপের আঠা ৭/৮ চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলের গোড়ায় কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেললে উকুন মরে যায়।
৯। ত্বকের যত্নে:
পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন পাকা পেপের সাথে মধু ও টকদই মিশিয়ে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
১০। ব্রণের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায় :
ব্রণের সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ব্রণের কারণে মুখে খুব বাে ধরনের দাগ তৈরি হয়। এই বাজে দাগগুলো নিরাময় করতে পারে সুমিষ্ট এই ফলটি। মুখের অন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেছতা, ফুস্কুরির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে ফলটি মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
১০০ গ্রাম পেপেতে পাওয়া যায় ৩৯ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট আছে ৯.৮১ গ্রাম, ফ্যাট ০.১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৬১ গ্রাম। এছাড়া পেঁপে আরো নানা গুণের অধিকারী। পেঁপেতে আছে ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-৬, এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফলেট নামের একটি জরুরী ভিটামিন আছে। তাই ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করার জন্য নিয়মিত পেঁপে খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ চায়ের উপকারিতা শুধু সকালের ভাঙা ঘুমের জড়তা কাটানোতেই সীমাবদ্ধ নয়। চায়ে আছে বহুমুখী গুণ যা আপনাকে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে সহায়ক। চা খেলে গায়ের রং পরিবর্তন বা কালো হয় এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আবার কেউ কেউ মনে করেন চা খেলে ত্বক খসখসে হয়ে যাবে। অনেকে আবার বিশ্বাস করেন, চা খেলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চামড়ায় কালো ছাপ পড়ে এর কোনটিই ঠিক নয়। তবে মাত্রাতিরিক্ত খেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চায়ের রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড। যার মধ্যে রয়েছে চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস কালো এবং সবুজ চা দুটোতেই পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। ফ্ল্যাভোনয়েড নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস খাবারের সাথে বেশি পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরে গেলে হ্নদযন্ত্র অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ফলমূল বা শাক-সবজিতে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস পাওয়া যায় তার চেয়ে চায়ে বেশি পাওয়া যায়। চায়ে আছে কিছু ভিটামিন, দুটি খনিজ পদার্থ ও ১৫টিরও বেশি অ্যামাইনো এসিড। আছে থায়ামিন (ভিটামিন বি) কার্বোহাইড্রেট, মেটাবলিজমের জন্য যা দরকার। চায়ে আছে ভিটামিন-সি (অ্যাসকরবিক এসিড) যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাছাড়া চায়ে আছে ভিটামিন-বি, ফলিক এসিড প্রভৃতি। আমাদের শরীরে দিনে ২ থেকে ৫ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজের দরকার হয়। পাঁচ থেকে ছয় কাপ চা দুধ ছাড়া পান করলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজের ৪৫ শতাংশ পূরণ হয়। শরীরের স্বাভাবিক কাজ-কর্মের জন্য প্রয়োজন পটাশিয়ামের। পটাশিয়াম আলস্য কাটায়, ক্লান্তি, অবসাদ প্রভৃতিকে কাটিয়ে শরীরকে চাঙ্গা করে রাখে। প্রতিদিন ৪-৫ কাপ গ্রিন লিফের লিকার শরীরের প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের তিন-চতুর্থাংশ পূরণ করে। চায়ে সামান্য পরিমাণে জিঙ্ক আছে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
মধু একটি খুব উপকারী খাদ্য, পন্য ও ঔষধ। জন্মের পর নানা দাদীরা মখে মধু দেয় নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে, মিষ্টি হিসেবে, চিকিৎসা ও সৌন্দর্য চর্চা সহ নানাভাবে মধুর ব্যবহার করে আসছে। শরীরের সুস্থতায় মধুর উপকারিতা অনেক।
মধু কি?
মধু হচ্ছে একটি তরল আঠালো মিষ্টি জাতীয় পদার্থ, যা মৌমাছিরা ফুল থেকে নেকটার বা পুষ্পরস হিসেবে সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা রাখে। পরবর্তীতে জমাকৃত পুষ্পরস প্রাকৃতিক নিয়মেই মৌমাছি বিশেষ প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর এবং কোষ বদ্ধ অবস্থায় মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে মধু হচ্ছে এমন একটি অগাজানোশীল মিষ্টি জাতীয় পদার্থ যা মৌমাছিরা ফুলের নেকটার অথবা জীবন্ত গাছপালার নির্গত রস থেকে সংগ্রহ করে মধুতে রূপান্তর করে এবং সুনির্দিষ্ট কিছু উপাদান যোগ করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে।
মধুর ভৌত বৈশিষ্ট্যঃ
বাংলাদেশের জাতীয় মধু বোর্ডের সংজ্ঞা অনুযায়ী, "মধু হল একটি বিশুদ্ধ পদার্থ যাতে পানি বা অন্য কোন মিষ্টকারক পদার্থ মিশ্রিত করা হয় নাই।" মধু চিনির চাইতে অনেক গুণ মিষ্টি। তরল মধু নষ্ট হয় না, কারন এতে চিনির উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। প্রাকৃতিক বায়ুবাহিত ইস্ট মধুতে সক্রিয় হতে পারে না, কারন মধুতে পানির পরিমাণ খুব অল্প। প্রাকৃতিক, অপ্রক্রিয়াজাত মধুতে মাত্র ১৪% হতে ১৮% আর্দ্রর্তা থাকে। আর্দ্রর্তার মাত্রা ১৮% এর নিচে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ মধুতে কোন জীবাণু বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। পাস্তুরাইয্ড মধুতে মধুর প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাবলী হ্রাস পায়।
Kushtia Polytechnic Institute Kushtia
Md. Tuhin Hossain
Dept: Computer Technology
Shift: First Shift
Roll: 522135
Reg: 486583
Sesion: 2011-12
Website
Kushtia Polytechnic Institute Kushtia
Md. Sowrov Hossain
Dept: Computer Technology
Shift: First Shift
Roll: 522426
Reg: 484591
Sesion: 2011-12