প্রণালী: মুরগির টুকরো, সয়া সস, চিলি সস, দুধ, মেয়নেজ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন বাটা মেখে ৩-৪ ঘণ্টা রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। এবারে শুকনো ময়দায় লবণ, বেকিং পাউডার, গোলমরিচের গুঁড়া, মাস্টার্ডের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মুরগি টুকরো গুলোতে এই মিশ্রণ ভাল করে চারপাশে মাখিয়ে নিন। ডুবো তেলে, অল্প আঁচে, সোনালী করে ভেজে তুলুন। তারপর গরম পরিবেশন করুন।
প্রণালী: ১) প্রথমে চিকেন তান্দুরি তৈরির সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মুরগির টুকরা গুলোর সাথে মাখিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। চট করে রাঁধতে চাইলেও ১ ঘণ্টা মশলায় মেরিনেট করুন। এরপর একে একে মুরগির টুকরা গুলো ওভেনের গ্রিল অপশনে গ্রিল করে নিন অথবা চুলায় তাওয়ায় ভেজে হালকা পোড়া পোড়া করে ভেজে নিন।
২) চুলায় তেল গরম করুন। এরপর পেঁয়াজ লালচে করে ভেজে অর্ধেকটা তুলে রাখুন। এবার বাকি পেয়াজের সাথে একে একে সব মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর পুদিনা পাতা ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন গ্রেভি।
৩) চাল ভালো করে ধুয়ে ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৪ কাপ পানিতে লবণ আস্ত জিরা ও তেজপাতা দিয়ে চাল সেদ্ধ করে নিন।
৪) এবার সব উপকরণ মেশানোর পালা। সেদ্ধ চালের অর্ধেকটা উঠিয়ে প্রথমে তান্দুরি চিকেনের টুকরা গুলো দিন। এরপর তার উপরে গ্রেভি দিন। এবার সবার উপরে বাকি চাল গুলো দিয়ে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। এবার চামচ দিয়ে সাবধানে নাড়াচাড়া করে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫/৬ মিনিট চুলায় বসিয়ে রাখুন।
৫) গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন তান্দুরি বিরিয়ানি।
প্রণালী: খাসীর মাংসগুলোকে টুকরা করে রাখুন। পেয়াজ অর্ধেকটা কুচি করে রাখুন এবং অর্ধেকটা বেটে নিন। এরপর কুচি করা পেঁয়াজের অর্ধেকটা ভেজে বেরেস্তা করে নিন। এরপর মাংসের সাথে টকদই, পোস্ত দানা বাটা, আদা, রসুন, হলুদ, কাঁচামরিচ বাটা, মরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজবাটা, চিনি, লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এবার একটি পাত্রে ঘি গরম করে অবশিষ্ট পেয়াজ কুচি, দারচিনি, এলাচ দিয়ে ভাজুন। এরপর মাংস দিয়ে দিন এবং সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ভাল করে কষানো হয়ে গেলে মাংস সেদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিয়ে পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হয়ে গেলে কাঁচামরিচ, ভেজে রাখা বেরেস্তা, লেবুর রস দিয়ে নেড়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে দুই মিনিট চুলায় রেখে মাংসের রেজালা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। গরম ভাত, খিচুড়ি, পরোটা, নান রুটি কিংবা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন সুস্বাদু খাসির শাহী রেজালা।
প্রণালী: কমলার কোয়া গুলোকে বীজ ও খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে মাখন গরম করে নিন। মাখন ভালো করে গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ, ও আদা কুচি ভেজে নিন। এরপর মাছের টুকরা গুলোতে হালকা লবণ মাখিয়ে মাখনে ভালো করে ভেজে নিন। মাছ ভাজা ভাজা হয়ে গেলে একে একে কমলার কোয়া ও টমেটো দিয়ে দিন। টমেটো সিদ্ধ হয়ে এলে সয়াসস, কাচামরিচ, গোল মরিচের গুঁড়ো, সামাণ্য লবণ দিয়ে দিন। একটু পরে কমলার রস ও কমলার খোসা কুচি দিয়ে নেড়ে দিন আলতো করে। ১ মিনিট পরে ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন মজাদার অরেঞ্জ ফিশ। পোলাও, ফ্রাইড রাইস, ভাত এমনকি রুটির সাথেও খেতে ভালো লাগবে এই খাবারটি।
প্রণালী: লাউশাক ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করুন। শাকের সাথে কাঁচামরিচও সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার নারকেল কুড়ানো, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পানি ছাড়া বেটে ভর্তা তৈরি করুন।
প্রণালী: মিষ্টি কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিন। হয়ে গেল মজাদার মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা।
প্রণালী: শুকনা মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।
প্রণালী: আলু এবং ডিম সেদ্ধ করে নিন। খোসা ছাড়িয়ে আলু এবং ডিম আলাদাভাবে চটকে নিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ এবং আধা চা চামচ সরিষার তেল দিয়ে ডিম ও আলু ভালোভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন।
প্রণালী: কাচকি মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কাচকি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কাঁচামরিচ অল্প তেলে কড়াইতে হালকাভাবে ভাজুন। ভাজা হলে লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে পাটায় বেটে ভর্তা তৈরি করুন।
প্রণালী: রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মেখে ভর্তা করুন।
প্রণালী: আলুর খোসা ছাড়িয়ে আলুগুলোকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে কাটতে হবে। এরপর ফুটন্ত পানিতে আলুর টুকরাগুলো এক থেকে দেড় মিনিট সিদ্ধ করতে হবে। আলু হাল্কা সিদ্ধ হয়ে এলে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে ঢেলে এক মিনিট রাখতে হবে। এবার ঠান্ডা পানি থেকে ছেঁকে নেয়া আলুর সাথে ময়দা ও গোল মরিচ মিশিয়ে আলুর টুকরাগুলো ভাজার জন্য তৈরি করুন। কড়াইতে তেল ভাল করে গরম করে আলুর টুকরাগুলো ডুবো তেলে বাদামী করে ভাজতে থাকুন। ভাজার পর টিস্যু পেপারে রেখে বাড়তি তেল শুষে নিন। সবশেষে এতে লবন দিয়ে একটূ ঝাঁকিয়ে নিন। গরম এবং মচমচে থাকতে থাকতে পরিবেশন করুন।
প্রণালী: ভাত গুলোকে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে মোটামুটি মসৃণ করে নিন। পানি ছাড়া সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মেখে ৮/১০ মিনিট রেখে দিন। পেঁয়াজ থেকে সামান্য পানি বের হয়। ফলে মিশ্রণটি একটু নরম হয়। আরো নরম করতে চাইলে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে মিশ্রণ আরেকটু নরম করে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে ভালো করে গরম করুন। মিশ্রণটি হাতের তালুর সাহায্যে গোলাকৃতি করে গরম তেলে ছেড়ে দিন। নেড়ে চেড়ে ভাজতে থাকুন লালচে হওয়া পর্যন্ত। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। বিকেলের নাস্তায় চায়ের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার রাইস পাকোড়া।
প্রণালী: আলু ঝুরি করে কেটে নিন। আলু ভালো করে ধুয়ে হলুদ গুড়া মেশানো বরফ শীতল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ২০/৩০ মিনিট। আলুগুলোকে তুলে পানি ভালো করে ঝরিয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন। তেল ধোয়া ওঠা গরম করে নিন। এরপর এক মুঠো করে আলু ঝুরি গরম তেলে ছেড়ে মুচমুচে করে ভেজে নিন। একসাথে বেশি আলু দিলে মুচমুচে হবে না। সোনালি করে ভেজে নামিয়ে কিচেন টিস্যুতে রেখে তেল টানিয়ে নিন। আলু ঝুরিতে গুড়ো লবণ ছিটিয়ে দিন। চায়ের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার মুচমুচে আলুর ঝুরি ভাজা।
প্রণালী: আধা কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে রাখুন। এবার হাত দিয়ে তেতুল ভালো করে গুলে নিন। তেতুলের পানিটুকু মিহি ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। দেড় কাপ পানিতে গুড় গুলে নিন। গুড় ও তেঁতুল এক সঙ্গে মেশান। এবার পরিমাণমত লবণ ও বিট লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। বাকি এক কাপ ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশিয়ে দিন। গ্লাসে ঢেলে লেবুর স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টক মিষ্টি লেবুর শরবত।